এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশ

ssc-board-challenge-result-2023

২৮ জুলাই প্রকাশ হয়েছিল এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ২০২৩। এই পরিক্ষাতে পাশের হার ছিল ৮০.৩৯%, যা বিগত বছর গুলোর তুলনায় অনেক কম। পাশের হার কম হওয়াতে এবং কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পাবার জন্য পুনঃনিরীক্ষণ এর আবেদন করেছে ব্যাপক পরিমাণ শিক্ষার্থী।

শুধু ঢাকা বোর্ডে পুনঃনিরীক্ষণ উত্তরপত্রের জন্য আবেদন পড়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৯১ হাজার। পুনঃনিরীক্ষণ এর সময়সীমা ছিল ২৯ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত। শুধু শেষ দিনে আবেদন পড়েছিল ৭০ হাজারের বেশি। অতিরিক্ত আবেদনের কারনে সরকারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম্বার 16222 এই এসএমএস পাঠানোর পরে যথা সময় উত্তর পাওয়া যায়নি। এজন্য অনেক শিক্ষার্থী বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এবং প্রথম আলোর পত্রিকার সূত্র থেকে জানা যায় পুনঃনিরীক্ষণ / বোর্ড চ্যালেঞ্জ এর রেজাল্ট প্রকাশ হবে আগামী ২৮ আগস্ট। যে সকল শিক্ষার্থীরা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছিল, তাদের মধ্যে যাদের ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে তাদের সকলের তালিকা প্রকাশ করা হবে একত্রে ২৮ আগস্ট।

২৮ আগস্ট পুনঃনিরীক্ষণ ফলাফল প্রকাশ হবে এটি নিশ্চিৎ করা হয়েছে প্রথম আলো এবং জাগোনিউজ এর প্রতিবেদন থেকে।

বোর্ড চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে যাদের ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে সে সকল শিক্ষার্থীরা তৃতীয় ধাপে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। মাউশি সূত্র থেকে জানা যায়, যারা বোর্ড চ্যালেঞ্জ করেছে তাদের মধ্যে অনেকেরই ফলাফল পরিবর্তন হবে এ বছর। সল্প সময়ে ফলাফল প্রস্তুত করার কারণে অনেক ভুলভ্রান্তি হয়েছে।

আমাদের মধ্যে অনেকেরই বোর্ড চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভুল ধারণা রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন যে, বোর্ড চ্যালেঞ্জ এর ক্ষেত্রে কখনো খাতা পুনঃনিরীক্ষণ করা হয় না নিরীক্ষণ করা হয় শুধু নাম্বারগুলো। নাম্বার যোগের ক্ষেত্রে কোন ভুলভ্রান্তি হলে সেগুলোকে সংশোধন করে নতুন করে নম্বর বন্টন করা হয়। তবে খাতাতে নতুন করে কোন নম্বর সংযোগ করা হয় না। খাতায় সেট কোড ভুল করে থাকলে পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করলে তা কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না।

এসএসসি পরীক্ষাতে বিগত বছরের তুলনায় অনেক খারাপ ফলাফল হয়েছে এ বছর। ধারণা করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের অবহেলা এবং ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩ এর ক্ষেত্রেও এরকম ফলাফল হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম বোর্ড এবং দিনাজপুর বোর্ডের রেজাল্ট অনেক খারাপ হয়েছে এ বছর। অপরদিকে সব দিক থেকে এগিয়ে আছে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড। এজন্য অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের তুলনায় বরিশাল বোর্ডে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদনের সংখ্যা অনেক কম। বোর্ড চ্যালেঞ্জ সবচেয়ে বেশি করেছে ঢাকা বোর্ড এবং রাজশাহী বোর্ড সহ দিনাজপুর বোর্ড। এই তিনটি বোর্ডের ব্যাপক পরিমাণ শিক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন হবে।তুলনামূলকভাবে সিলেট বোর্ডের রেজাল্ট অনেক খারাপ হয়েছে এ বছর।

একটি শিক্ষার্থীকে সকল বিষয়ে এ প্লাস পেতে দেখেও একটি বিষয়ে ফেল দেখা গিয়েছে এ বছর। তবে এ সকল শিক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে অনেক ব্যাপকভাবে। খাতায় নির্দিষ্ট পরিমাণের সবকিছু লিখে থাকলে অবশ্যই ফলাফল পরিবর্তন হবে। নৈর্ব্যক্তিক অংশের কারণে অনেকে ফেল করেছে। নৈর্ব্যক্তিকে যারা খারাপ করেছে তাদের ফলাফলের পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই।

বোর্ড চ্যালেঞ্জ এর ফলাফল প্রকাশ হলে শিক্ষার্থীরা তিনটি ভাবে এই ফলাফল দেখতে পারবে। প্রথমটি হল 16222 নাম্বারে এসএমএসের মাধ্যমে। দ্বিতীয়টি হল শিক্ষার্থীরা বরাবর একটি তালিকা প্রকাশ করবে মাউশী থেকে সেটির মাধ্যমেও দেখতে পারবে। তৃতীয়টি ওয়েবসাইট থেকে আবারো নতুনভাবে তাদের রেজাল্ট দেখতে পারবে অনলাইনে সার্চ করার মাধ্যমে।

যাদের রেজাল্ট পুনঃনিরীক্ষণের মাধ্যমে পরিবর্তন হবে তারা অবশ্যই যে নাম্বার দিয়ে বোর্ড চ্যালেঞ্জ করেছিল সেই নাম্বার এসএমএস পাবে। ২৮শে আগস্ট দুপুর ১২ টার দিকে এই ফলাফল প্রকাশ হবে। প্রথমে এটি প্রকাশ হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রতিটি বোর্ডের ওয়েবসাইটে। এরপরে তা স্কুল পর্যায়ে ফরওয়ার্ড করে দেয়া হবে। পুনঃনিরীক্ষণের মাধ্যমে যাদের ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে তাদের সার্টিফিকেটগুলো ছাপানো হবে পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফলের পর।

Previous News Next News